শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ০৩:০১ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্যের ডিজির পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে

স্বাস্থ্যের ডিজির পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে

স্বদেশ ডেস্ক:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার সকালে জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলেই পদত্যাগপত্র গ্রহণের বিষয়টি বলা যাবে।’

চুক্তিতে থাকা আবুল কালাম আজাদ গতকাল মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আবুল কালাম আজাদের চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই ছিল। অপসারিত হওয়ার চেয়ে পদত্যাগ সম্মানজনক। আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগের সুযোগ নিয়েছেন।

আবুল কালাম আজাদের ঘনিষ্ঠ একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভগ্নস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন আবুল কালাম আজাদ। তার চলে যাওয়ার কথা, নতুন মহাপরিচালক খোঁজার কথা শোনা যাচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনার অভিযোগ সব সময় ছিল। করোনাভাইরাস মহামারির সময় এসব অভিযোগ আরও বড় আকারে দেখা দেয়। স্পষ্ট হয়ে ওঠে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অদক্ষতা, ব্যর্থতা। এর মাঝে গত ৭ জুলাই ঢাকায় রিজেন্ট হাসপাতালে র‍্যাবের অভিযানের পর সেটি বন্ধ করে দেওয়া হলে কার নির্দেশে কীভাবে ওই হাসপাতালকে করোনাইভারাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, তা নিয়ে তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হলে মন্ত্রী জানান যে, অধিদপ্তরের আমন্ত্রণেই তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে মহাপরিচালক দাবি করেন যে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই তারা চুক্তিটি করেছিলেন।

সেদিন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ‘রিজেন্টের সঙ্গে চুক্তির লিখিত আদেশ এই ব্যাখ্যার সঙ্গে সংযুক্ত আছে কিনা জানতে চাইলে মহাপরিচালক জানান, সেই চুক্তি করা হয়েছিল সাবেক স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলামের মৌখিক নির্দেশে। যিনি বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।’

গত ১২ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওই অফিস আদেশে ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ বলতে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক কী বোঝাতে চেয়েছেন সে বিষয়ে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এমন পটভূমিতেই গতকাল আবুল কালাম আজাদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের এপ্রিলে আবুল কালাম আজাদের মহাপরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হয়। এরপর তিনি দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। আগামী বছর এপ্রিলে বাড়তি মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মহাপরিচালক হওয়ার আগে বেশ কয়েক বছর তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) ও রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877